ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
খুলনায় বৈশ্বিক জলবায়ু নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে ঘর সংস্কারে ৫০ পরিবারে চেক বিতরণ শ্যামনগরে যুবদলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের দাবিতে কালিগঞ্জে জলবায়ু ধর্মঘট পালন কালিগঞ্জে সেনা সদস্যের হাতে ৪ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ  জলবায়ু সংকট দূরীকরণের দাবিতে শ্যামনগরে জলবায়ু ধর্মঘট কালিগঞ্জ বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা:) উদযাপন শ্যামনগরে এপেক্স বডির সমবায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রেডিও নলতায় শুরু হলো ৩দিন ব্যাপি” Basic Journalism Training for Community Youth Leaders” প্রশিক্ষণ দুই মাসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে

  • Sound Of Community
  • পোস্ট করা হয়েছে : ০১:১৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫৫ জন পড়েছেন ।

রনজিৎ বর্মন নিজস্ব প্রতিনিধি :

বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে। ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে লাইন দিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সকল হাটবাজারে এদের চাহিদা রয়েছে। সাধারণত বৃষ্টি হলে ভীড়  বেশি দেখা যায় ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে। এছাড়া রৌদ্র বেশি দেখা গেলেও অনেকে ছাতা ব্যবহার করে থাকেন।

উপজেলার নকিপুর হাটবাজারে সরজমিনে দেখা যায় ৭ থেকে ৮ জন ছাতা মেরামতকারির দোকানে ভীড় লেগেই আছে। তবে যাদের চাহিদা বেশি সেখানে ভীড়ও বেশি। আবার অনেকে কাজের চাপের কারণে ছোট ছোট কাজ করছেন না। আবার কাজের চাপের কারণে ছাতা মেরামতকারির দোকানে সিরিয়াল মেনটেইন করতে হচ্ছে।

নকিপুর বাজারে ছাতা মেরামতকারি আবুল হোসেন বলেন তিনি চল্লিশ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। এই কাজটার উপরে এক প্রকার সংসার চলে। তিনি বলেন বৃষ্টি বেশি হলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। লাইনে লোক থাকে ছাতা মেরামত করার জন্য। ছোট ছোট কাজ তিনি করার সময় পাননা। ছাতার ত্রুটি অনুপাতে টাকার পরিমান নির্ধারণ করে থাকেন। তবে তিনি বলেন মেরামতের মজুরি হিসাবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা নিয়ে থাকেন। আর নতুন কোন কিছু ছাতার লাগানো হলে তার দাম পৃথকভাবে পরিশোধ করতে হয়। ছাতা মেরামত করতে আসা নকিপুর গ্রামের শাহিনুর ইসলাম বলেন ছাতা দিয়ে লাইনে আছি তার হাতের কাজ শেষ হলে আমার ছাতায় হাত দিবেন বলে জানিয়েছেন। মেরামতকারি জানান দৈনিক ছাতা মেরামত করেন ৩০ থেকে ৪০টি।

নকিপুর বাজারের ছাতা মেরামতকারি সোনামুগারি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন তিনি প্রতি হাটবারে বসের রাসেল স্কয়ারের সামনে। এখানে প্রতি হাটবারে ৩০ থেকে ৪০টি ছাতা মেরামত করেন। তিনি ছোট বড় সব ধরনের কাজ করেন। মজুরি হিসাবে সর্ব নিম্ন ১০ টাকা আর ছাতার ত্রুটি অনুযায়ী ৪০ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে থাকেন। বহুদিন যাবত এ পেশার সাথে জড়িয়ে আছেন বলে জানান।

শ্যামনগর ডাক বাংলা মোড়ে ছাতা মেরামতকারি আব্দুল জানান তিনি পেশায় এক ছাতা মেরামতকারি এর সাথে চাবি ঠিক করেন। মূল পেশা ছাতা মেরামতকরা। বহুদিন যাবত এ পেশায় জড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন বর্ষা হলে কাজ বেশি হয় আর রৌদ্র বেশি হলে কাজ হয়। ছাতার কিছু নতুন মালামালাও রেখেছেন প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে উপকরণের দাম ছাড়াও মজুরী আলাদা নিয়ে থাকেন। দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি বা তার কম কোন সময়ে ছাতা মেরামত করেন। তিনি বলেন বর্ষা হলেই তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় সিরিয়াল মেনটেইন করতে হয়।

এদিকে ছাতা ব্যবসায়ীরা জানান বর্ষাকালে তাদের ছাতা বিক্রী বেড়ে যায়। পূর্নিমা কসমেটিক্স এর মালিক গিরিন্দ্র বলেন বর্ষাকালে ছাতা বেশি হয় এবং এ সময়ে বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতা তারা দোকানে বিক্রীর উদ্দেশ্যে দোকানে মজুত রাখেন। প্রিন্স ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক জানান বর্ষাকালে ফল্ডিং ছাতা বেশি বিক্রী হয়। এই ছাতার মূল্য তিনশত পঞ্চাশ বা চারশত টাকা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানির ছাতার মূল্য ভিন্ন রকমের।

Tag :
রিপোর্টার সম্পর্কে

Sound Of Community

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় বৈশ্বিক জলবায়ু নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে

পোস্ট করা হয়েছে : ০১:১৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

রনজিৎ বর্মন নিজস্ব প্রতিনিধি :

বর্ষায় ছাতা মেরামতকারিদের কদর বেড়েছে। ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে লাইন দিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সকল হাটবাজারে এদের চাহিদা রয়েছে। সাধারণত বৃষ্টি হলে ভীড়  বেশি দেখা যায় ছাতা মেরামতকারিদের দোকানে। এছাড়া রৌদ্র বেশি দেখা গেলেও অনেকে ছাতা ব্যবহার করে থাকেন।

উপজেলার নকিপুর হাটবাজারে সরজমিনে দেখা যায় ৭ থেকে ৮ জন ছাতা মেরামতকারির দোকানে ভীড় লেগেই আছে। তবে যাদের চাহিদা বেশি সেখানে ভীড়ও বেশি। আবার অনেকে কাজের চাপের কারণে ছোট ছোট কাজ করছেন না। আবার কাজের চাপের কারণে ছাতা মেরামতকারির দোকানে সিরিয়াল মেনটেইন করতে হচ্ছে।

নকিপুর বাজারে ছাতা মেরামতকারি আবুল হোসেন বলেন তিনি চল্লিশ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। এই কাজটার উপরে এক প্রকার সংসার চলে। তিনি বলেন বৃষ্টি বেশি হলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। লাইনে লোক থাকে ছাতা মেরামত করার জন্য। ছোট ছোট কাজ তিনি করার সময় পাননা। ছাতার ত্রুটি অনুপাতে টাকার পরিমান নির্ধারণ করে থাকেন। তবে তিনি বলেন মেরামতের মজুরি হিসাবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা নিয়ে থাকেন। আর নতুন কোন কিছু ছাতার লাগানো হলে তার দাম পৃথকভাবে পরিশোধ করতে হয়। ছাতা মেরামত করতে আসা নকিপুর গ্রামের শাহিনুর ইসলাম বলেন ছাতা দিয়ে লাইনে আছি তার হাতের কাজ শেষ হলে আমার ছাতায় হাত দিবেন বলে জানিয়েছেন। মেরামতকারি জানান দৈনিক ছাতা মেরামত করেন ৩০ থেকে ৪০টি।

নকিপুর বাজারের ছাতা মেরামতকারি সোনামুগারি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন তিনি প্রতি হাটবারে বসের রাসেল স্কয়ারের সামনে। এখানে প্রতি হাটবারে ৩০ থেকে ৪০টি ছাতা মেরামত করেন। তিনি ছোট বড় সব ধরনের কাজ করেন। মজুরি হিসাবে সর্ব নিম্ন ১০ টাকা আর ছাতার ত্রুটি অনুযায়ী ৪০ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে থাকেন। বহুদিন যাবত এ পেশার সাথে জড়িয়ে আছেন বলে জানান।

শ্যামনগর ডাক বাংলা মোড়ে ছাতা মেরামতকারি আব্দুল জানান তিনি পেশায় এক ছাতা মেরামতকারি এর সাথে চাবি ঠিক করেন। মূল পেশা ছাতা মেরামতকরা। বহুদিন যাবত এ পেশায় জড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন বর্ষা হলে কাজ বেশি হয় আর রৌদ্র বেশি হলে কাজ হয়। ছাতার কিছু নতুন মালামালাও রেখেছেন প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে উপকরণের দাম ছাড়াও মজুরী আলাদা নিয়ে থাকেন। দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি বা তার কম কোন সময়ে ছাতা মেরামত করেন। তিনি বলেন বর্ষা হলেই তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় সিরিয়াল মেনটেইন করতে হয়।

এদিকে ছাতা ব্যবসায়ীরা জানান বর্ষাকালে তাদের ছাতা বিক্রী বেড়ে যায়। পূর্নিমা কসমেটিক্স এর মালিক গিরিন্দ্র বলেন বর্ষাকালে ছাতা বেশি হয় এবং এ সময়ে বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতা তারা দোকানে বিক্রীর উদ্দেশ্যে দোকানে মজুত রাখেন। প্রিন্স ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক জানান বর্ষাকালে ফল্ডিং ছাতা বেশি বিক্রী হয়। এই ছাতার মূল্য তিনশত পঞ্চাশ বা চারশত টাকা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কোম্পানির ছাতার মূল্য ভিন্ন রকমের।